[PDF] সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী - জিলহজ আলী | ই-বুক সমাহার

      

সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী মুসলিম বিজ্ঞানীদের নিয়ে বই।  free ebook pdf - জিলহজ আলী | ফ্রি পিডিএফ।

এ বইয়ে মুসলিম বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের ইতিহাস পরিচয় দেয়া আছে। আপনি পড়ুন ও সবাইকে পড়তে উৎসাহ দিন। 


সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী মুসলিম বিজ্ঞানীদের নিয়ে বই।  free ebook pdf- জিলহজ আলী | ফ্রি পিডিএফ।


বই সম্পর্কে:

Title সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী
Author জিলহজ আলী
Translator
Publisher সুহৃদ প্রকাশন
ISBN 984-632-076-0
Edition 2009
Number of Pages 124
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
Format
Size

 

সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী বইয়ের রিভিউ:

১. বিজ্ঞানের যুবরাজ ইবনে সীনা
২. বিজ্ঞানী ও কবি ওমর ইবনুল খৈয়াম
৩. ইবনে নাফিস : ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতির আবিষ্কারক
৪. দার্শনিক ও বিজ্ঞানী আল ফারাবী
৫. হাসান ইবনুল হাইছাম : ফটোগ্রাফীর জনক
৬. বিজ্ঞান জগতে ইবনে যুহর পরিবার
৭. ইবনে খালদুন : সমাজ বিজ্ঞানের জনক
৮. মূসা আল খারিজমী : বীজগণিতের জনক
৯. গণিতবিদ আবু রায়হান আল বিরুনী
১০. দার্শনিক ও বিজ্ঞানী আল কিন্দি
১১. মনীষী ও বিজ্ঞানী ইবনে রুশ্দ
১২. দার্শনিক ও যুক্তিবিদ মুহাম্মদ আল গাযালী
১৩. রসায়নবিদ জাবির ইবনে হাইয়ান
১৪. চিকিৎসাবিদ আবু বকর মুহাম্মদ বিন জাকারিয়া আর রাজী
১৫. চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবুল কাসেম খালাফ আজ্জাহরাবী
১৬. বাঙালী চিকিৎসাবিদ মুহাম্মদ আল মাহাদী বিন আলী আল হিন্দ সুনপুরী
১৭. উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ইবনুল বায়তার
১৮. উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ইবনে জুলজুল 
এদের সহ আরও ১০০+ বিজ্ঞানীদের তথ্য পাবেন।


রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়ত প্রাপ্তির পর খুব বেশীদিন লাগেনি ইসলামের আলো চুতর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে। খোলাফায়ে রাশেদার শাসনামলের মধ্যেই এ আলো দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। মুসলমানেরা দেশের পর দেশ জয় করতে থাকে, সাথে সাথে মুসলমানদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এ সময়ে মুসলমানেরা শুধু জয়যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত ছিল না, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায়ও তারা সমান তালে এগিয়ে যায় ।
বাঙালিদের কাছে মধ্যযুগ শব্দটি একটা গালি বলে পরিচিত। যুগটি বা ঐ কালটি মধ্যযুগীয় বর্বতা, অন্ধাকার যুগ ইত্যাকার বিশেষণে বিশেষিত বা চিহ্নিত। কিন্তু কেন? আমাদের কাছে তো মনে হয় মধ্যযুগটিই মুসলমানদের সোনালী যুগ। একটু খোঁজ নিলেই দেখা যাবে মধ্য যুগের মুসলিম মনীষীগণ জ্ঞান-বিজ্ঞানে এত বিপুল ও বিশাল অবদান রেখেছেন, যে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ সেই অবদানের কথা কখনই অস্বীকার করতে পারবে না। আর মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানের যে ফিরিক্তি তা তো অনেক বিস্তৃত।
“ইকরা' বা পড় এ শব্দটি দিয়েই কুরআন নাযিল শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ 'পড়' এটাই পৃথিবী বাসির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ প্রথম শব্দ। জ্ঞান চর্চার এ তাকিদ আর কোন ধর্ম গ্রন্থের শুরুতে আছে বলে আমার জানা নেই। প্রথম যুগের মুসলমানেরা আল্লাহর এ নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন। তাঁরা সে অনুযায়ী তাদের জীবনকে গড়ে তুলেছিলেন। যে কারণে তাঁদের মধ্য থেকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মবেত্তা, ধর্মনেতা, সেনাপতি, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিদ, অংক শাস্ত্রবিদ, রসায়নবিদ, পদার্থবিদ, জ্যোত্যিষী প্রভৃতি নানা শাখার ব্যক্তিত্ব, মনীষীরা বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন। মুসলিম শাসকগণ, সেনাপতি, ধর্মবেত্তাগণ দিনে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতেন নিষ্ঠার সাথে। আর রাতের বেলায় তাঁরা ইবাদত বন্দেগীর পাশাপাশি গভীর পড়াশুনা ও জ্ঞান গবেষণায় ডুবে থাকতেন। এটা ছিল মুসলমানদের ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য আজ মুসলমানরা জ্ঞান-গবেষণার পরিবর্তে পরচর্চায় ব্যস্ত থাকে। অন্যদিকে তথাকথিত এক শ্রেণীর মুসলিম নামধারী বুদ্ধিজীবী নামের পরজীবীরা মত্ত থাকেন ইসলাম ও মুসলমানদের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করার কাজে। কষ্ট লাগে তাদের জন্য। তারা যদি অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কল্যাণকর জ্ঞান-গবেষণায় রত থাকতেন তা হলে তাদেরসহ দেশ ও জাতি কতই না উপকৃত হতো।
আমরা 'সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী' শিরোনামের এ গ্রন্থটিতে ইসলামের উন্মেষ পর্ব থেকে ইসলামের বিস্তার অর্থাৎ মধ্যযুগ পর্যন্ত যে সমস্ত মুসলিম বিজ্ঞানী রাতদিন মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন তাদের পরিচিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পুরোপুরি সফলতার সাথে কাজটি করতে পেরেছি তা বলবো না। তবে চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব । আরও তথ্য উপাত্ত পেলে পরবর্তী সংস্করণে তা সংযোজন করার ইচ্ছে রইল।
'সেরা মুসলিম বিজ্ঞানী' গ্রন্থটি ছেলে-বুড়ো সবারই সমান ভাবে ভালো লাগবে বা কাজে লাগবে এই প্রত্যাশা।

হযরত আলী (রা.) :

হযরত আলী (রা.) মক্কার কুরাইশ বংশে ৬০০ খৃস্টাব্দ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর আপন চাচাত ভাই ছিলেন। আলী (রা.)-এর পিতা ছিলেন আবৃ তালিব আর দাদা ছিলেন আবদুল মুত্তালিব। খুলাফায়ে রাশেদার চতুর্থ খলিফা ছিলেন তিনি। তাঁর জ্ঞানের ব্যাপারে স্বয়ং রাসূল (সা.) বলেছেন, 'আমি জ্ঞানের নগরী, আর আলী সেই নগরীর দরওজা।'
হযরত আলী (রা.) একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। কিন্তু তাঁর এই পরিচয়টি আমাদের কাছে অজানা রয়ে গেছে। তাঁর একটি কাব্যবাণীতে আছে--- যুজ আল ফারার ওয়তি তালাক
ওয়াশ্ শায়য়ান আশবাহুল বারাক এজাসাম জালাত ওয়া আস কাহাৎ
মালাক তাল গারার ওয়াশ্ শারার।
অর্থ--'পারদ ও অভ্র একত্র করে যদি বিদ্যুৎ ও বজ্র সদৃশ কোন বস্তুর সঙ্গে সংমিশ্রণ করতে পার, তাহলে প্রাচ্য ও পাশ্চাতের অধীশ্বর হতে পারবে' (বিজ্ঞানে মুসলমানদের দান-এম. আকবর আলী)।
'হযরত আলী (রা.) পারদ ও অভ্রকে বিদ্যুৎ বা বজ্রের মত ভীষণ তেজস্কর অগ্নি- সংশ্লেণাত্মক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার আভাষ দিচ্ছেন। আবূ আলী সীনাও স্বর্ণ প্রস্তুতে হযরত আলী (রা.)-র মত পারদকে অপরিহার্য ধরে নিয়ে অতিশয় বিশুদ্ধ গন্ধক ও পারদ জমিয়ে কঠিন করে স্বর্ণ প্রস্তুতের পদ্ধতি দিয়েছেন। গন্ধক ও পারদকে জমিয়ে কঠিন ও বিশুদ্ধ করতে গেলে বিদ্যুৎ বা বজ্রের মত ভয়ঙ্কর অগ্নি বিক্রিয়ার কথা না বললেও অনুধাবন করা খুব দুরূহ নয়। তাহলে হযরত আলী (রা.) আর ইবনে সীনার মতবাদের মধ্যে খুব তফাৎ থাকে না' (বিশ্বসভ্যতায় মুসলিম অবদান-নূরুল হোসেন খন্দকার, পৃ. ১৯)।
আসলে হযরত আলী (রা.) থেকেই আরব সভ্যতার বিজ্ঞান গবেষণার সূচনা । ইসলামের ইতিহাসের এই প্রথম বিজ্ঞানী ৬৬১ খৃস্টাব্দে শাহাদৎ বরণ করেন।

জাফর আস্ সাদিক (রা.) :

জাফর আস্ সাদিক ৬৯৯ খৃস্টাব্দ মতান্তরে ৭০২ খৃস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ আল বাকির। রাসূলুল্লাহ (সা.) অধস্তন বংশধর জাফর (র.) কে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁদের সম্মানিত বারজন ইমামের ষষ্ঠ ইমাম হিসেবে মান্য করেন। ইমাম জাফর হাদীস শাস্ত্রের গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। অন্যদিকে তিনি একজন রসায়নবিদ ছিলেন বলে জানা যায়। এও জানা যায় যে তিনি জ্যোতিষশাস্ত্র, আলকেমি ও অন্যান্য গূঢ় বিজ্ঞান চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তবে সব থেকে বড় যে বিষয়টি তা হলো তিনি রসায়ন বিজ্ঞানের জনক জাবির ইবনে হাইয়ানের ওস্তাদ ছিলেন। ইবনে খাল্লিকান মনে করেন, ‘জাবির ইবনে হাইয়ান দু'হাজার পৃষ্ঠার যে গ্রন্থ রচনা করেন, তাতে তাঁর শিক্ষক জাফর আস সাদিকের আবিষ্কৃক সমস্যাগুলোও তুলে ধরেন এবং এতে গ্রন্থের ৫০০ পৃষ্ঠা ব্যয় হয়।
"রিসালা জাফর আস্ সাদিক ফি ইলামিস্ সালা ওয়াল হাজারিল মোকাররম নামে ইমাম জাফর সাদিকের একটি গ্রন্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রন্থটি প্রাচ্যাবিদ রুশকা জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেন।
ইমাম জাফর সাদিক (র.) ৭৬৫ খৃস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post